পিআর আন্দোলনকে 'রাজনৈতিক প্রতারণা' বললেন নাহিদ ইসলাম

 




পিআর আন্দোলনকে 'রাজনৈতিক প্রতারণা' বললেন নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর কথিত ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) আন্দোলন’কে একটি সুচিন্তিত রাজনৈতিক প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন।

মূল অভিযোগসমূহ:

১. বিভ্রান্ত করার কৌশল: তিনি অভিযোগ করেন যে, জামায়াত পরিকল্পিতভাবে এই ইস্যুটি (পিআর আন্দোলন) তুলে ধরেছে। এর উদ্দেশ্য হলো— সংবিধান ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রকৃত প্রশ্ন এবং ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারপ্রক্রিয়া ও জাতীয় সংলাপকে গণ–অভ্যুত্থানের মূল দাবি থেকে ভিন্ন দিকে সরিয়ে দেওয়া।

২. আন্দোলন ছিনতাই ও দলীয় স্বার্থ: নাহিদ ইসলাম বলেন, ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ছিল মৌলিক সংস্কারের অন্যতম দাবি, যা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো তৈরির আন্দোলনের অংশ ছিল। কিন্তু জামায়াত ও তার সহযোগীরা এই আন্দোলনকে ছিনতাই করে এটিকে কেবল একটি কাঠামোগত পিআর বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে এবং তাদের ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দর–কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

৩. সংস্কার আলোচনায় অনুপস্থিতি: তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, জামায়াতে ইসলামী জুলাই অভ্যুত্থানের আগে ও পরে কখনোই সংস্কার আলোচনায় যুক্ত হয়নি। তারা কোনো কার্যকর প্রস্তাব বা সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেনি এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি কোনো অঙ্গীকারও দেখায়নি।

৪. কৌশলগত অনুপ্রবেশ: ঐকমত্য কমিশনের অধীনে সংস্কারের বিষয়ে জামায়াতের আকস্মিক অনুমোদনকে তিনি 'সংস্কার আকাঙ্ক্ষার ফল নয়, বরং একটি কৌশলগত অনুপ্রবেশ' এবং 'সংস্কারবাদের ছদ্মবেশে একটি রাজনৈতিক নাশকতা' বলে অভিহিত করেন।

জনগণের সচেতনতা:

এনসিপি আহ্বায়ক দাবি করেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন এই প্রতারণা স্পষ্টভাবে বুঝে গেছে। তারা সত্যের পক্ষে জেগে উঠেছে এবং আর ভুয়া সংস্কারবাদী বা ছলনাকারীদের দ্বারা প্রতারিত হবে না। তিনি মন্তব্য করেন, সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ আর কখনোই অসৎ, সুযোগসন্ধানী এবং নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিকে তাদের শাসন করার সুযোগ দেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ