প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, সরকারের দুর্বলতার কারণেই ‘মবতন্ত্র’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যা কঠোর হাতে দমন করা জরুরি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ ঘটনায় সরকারের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি ছিল বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে—এমন পূর্বাভাস গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ছিল। আমরাও সে বিষয়ে জেনেছি। কিন্তু সেই গোয়েন্দা তথ্য কেন আমলে নেওয়া হলো না?’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘শুনেছি এক থেকে দুই ঘণ্টা পর তারা ঘটনাস্থলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এত দেরি কেন হলো?’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার যেভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে—সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে—সেই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। এটি আমাদের জন্য চরম লজ্জার। জাতি হিসেবে শুধু দুঃখ প্রকাশ করেই আমরা এই দায় এড়াতে পারি না।’
গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ আখ্যা দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পত্রিকা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। এই মুহূর্তে সেই দর্পণ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু সাংবাদিকদের দর্পণ যেন কোনোভাবেই চূর্ণ না হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম গণতন্ত্র। কিন্তু কেন তা মবোক্রেসিতে পরিণত হবে? কেন মবতন্ত্রকে লালন করার সুযোগ দেওয়া হবে?’
আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্র শক্তিশালী করার কাজে লাগাতে চাই। কোনো ব্যক্তিকে শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য নয়।’
ব্যক্তিতান্ত্রিক বা দলতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রকে বিএনপি কোনোভাবেই উৎসাহিত করবে না বলেও জানান তিনি।
সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্যসমূহ