নির্বাচিত সরকারের পক্ষে এত সংস্কার হজম করা কঠিন হতে পারে

 



পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে ব্যাপক ও উচ্চাভিলাষী সংস্কার করেছে, তা নির্বাচিত সরকারের জন্য পুরোপুরি গ্রহণ করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে তিনি আশা করেন, নতুন সরকার এসব সংস্কারের বেশির ভাগই বা অন্তত মূল অংশ গ্রহণ করবে।

আজ সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো অধ্যাদেশ রেখে যাচ্ছি। যেমন বিচার বিভাগকে অধিক স্বাধীনতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার এসে দেখবে—স্বাধীনতা বাড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত কিছু দিয়ে ফেলা হয়েছে কি না। কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি অস্বস্তিকরও লাগতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার ফলে আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু ক্ষমতা কমে যাচ্ছে—এটিও বড় ধরনের সংস্কার। একই সঙ্গে বিভিন্ন খাতের সংস্কার কমিটি, বিবিএস, ক্রয় নীতিমালা–সহ একাধিক সংস্কারের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এসব অধ্যাদেশ পরবর্তী জাতীয় সংসদ পর্যালোচনা করে আইন হিসেবে পাস করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, প্রকল্প পরিচালকদের সংকট এখনো রয়ে গেছে। অনেকেই প্রকল্প পরিচালক হতে চান না, আর ঠিকাদাররাও আগের মতো আগ্রহী নন। তাঁর ভাষায়, ‘যতদূর শুনেছি, দুর্নীতি বা চাঁদাবাজিও খুব একটা কমেনি।’

আজকের একনেক সভায় মোট ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ব্যয় ১৫ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৯ হাজার ৪৫১ কোটি, প্রকল্প ঋণ ৫ হাজার ৬১০ কোটি এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১৩টি নতুন এবং ৫টি সংশোধিত প্রকল্প।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ